রঙিন ই-পেপার ডিসপ্লে
রঙিন ই-পেপার ডিসপ্লে প্রযুক্তি ডিজিটাল ডিসপ্লে সমাধানের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী অগ্রগতি হয়েছে, যা পারম্পারিক কাগজের পঠনযোগ্যতা এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ডিসপ্লের নমনীয়তা একযোগে প্রদান করে। এই নতুন প্রযুক্তিতে লাখ লাখ ক্ষুদ্র মাইক্রোক্যাপসুল ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রঙিন কণা থাকে এবং যেগুলোকে ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে স্পষ্ট এবং কাগজের মতো ডিসপ্লে তৈরি করা হয়। ডিসপ্লেটি কাজ করে রঙিন কণাগুলোকে বৈদ্যুতিক চার্জ প্রয়োগ করে সরানোর মাধ্যমে, যা ছবিগুলোকে স্পষ্ট এবং সুস্পষ্ট রাখে এবং পরবর্তী রিফ্রেশ না হওয়া পর্যন্ত চিত্রের অবস্থা অপরিবর্তিত রাখে এবং তখন পর্যন্ত কোনো বিদ্যুৎ খরচ হয় না। পারম্পারিক এলসিডি বা এলইডি ডিসপ্লের বিপরীতে, রঙিন ই-পেপার ডিসপ্লেগুলো আলো নির্গত করে না, বরং পরিবেশের আলোকে প্রতিফলিত করে, যার ফলে উজ্জ্বল আলোতে পঠনযোগ্যতা অনেক ভালো হয় এবং চোখের ক্লান্তি অনেকাংশে কমে যায়। প্রযুক্তিটি মৌলিক তিনটি রঙের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হাজার হাজার রঙ প্রদর্শনে সক্ষম উন্নত ডিসপ্লে পর্যন্ত বিভিন্ন রঙের পরিসর সমর্থন করে। ই-রিডার, ডিজিটাল সাইনেজ, স্মার্ট রিটেল লেবেল এবং শিক্ষামূলক ডিভাইসসহ বিভিন্ন খাতে এই ডিসপ্লেগুলো ব্যবহার করা হয়। এদের দ্বি-স্থিতিশীল প্রকৃতির কারণে ডিসপ্লেগুলো বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলেও চিত্র অক্ষুণ্ণ রাখে, যা এদের খুবই শক্তি কার্যকর এবং ব্যাটারি চালিত ডিভাইসের জন্য আদর্শ করে তোলে। সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নে রিফ্রেশ রেট এবং রঙের তীব্রতা উন্নত হয়েছে, যদিও কম বিদ্যুৎ খরচ এবং বাইরের দৃশ্যমানতা বজায় রাখা হয়েছে।